সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
বাংলাদেশ স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশের আনাচে কানাচে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়েছে নানান ধরনের ভাস্কর্য ও স্থাপত্য। এই প্রত্যেকটি ভাস্কর্য ও স্থাপত্য বহন করে আছে এক একটি স্মৃতির পাতা। বাংলাদেশের এক একটি স্মৃতিকে কেন্দ্র করেই গড়ে তোলা হয়েছে এক একটি ভাস্কর্য ও স্থাপত্য।
প্রিয় পাঠক, অনেকেই জানিনা এই ভাস্কর্য এবং স্থাপত্যগুলো কে, কবে, কখন, কিভাবে, কেন তৈরি করা হয়েছে এবং কোন ভাস্কর্যটি কোন স্মৃতিকে বহন করছে। তাই আজ আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের ভাস্কর্য এবং স্থাপত্যের ইতিহাস সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান আকারে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
![]() |
বাংলাদেশের ভাস্কর্য এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান |
বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
১. বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকার সাভারে।
২. জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে।
৩. জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৪. জাতীয় স্মৃতিসৌধ কবে উদ্বোধন করা হয়?
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে।
৫. জাতীয় স্মৃতিসৌধ কে উদ্বোধন করেন?
উত্তরঃ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
৬. জাতীয় স্মৃতিসৌধকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ একটি সম্মিলিত প্রয়াস।
৭. জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
উত্তরঃ মইনুল হোসেন।
৮. জাতীয় স্মৃতিসৌধ কতটুকু জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত?
উত্তরঃ ১০৯ একর।
৯. জাতীয় স্মৃতিসৌধের কয়টি ফলক আছে?
উত্তরঃ ৭টি।
১০. জাতীয় স্মৃতিসৌধের উচ্চতা কত?
উত্তরঃ ৪৬.৫ মিটার বা ১৫০ ফুট।
১১. জাতীয় স্মৃতিসৌধের ৭টি ফলক হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ স্বাধীনতা আন্দোলনের ৭টি পর্যায়ের নিদর্শন স্বরূপ।
১২. স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি পর্যায়ে কি কি?
উত্তরঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের নির্বাচন, ৫৮ এর সামরিক শাসন বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৬২ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, 66 এর ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ।
১৩. জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে কয়টি গণ কবর রয়েছে?
উত্তরঃ ১০টি।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
১৪. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ গেটের সামনে।
১৫. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় কি উদ্দেশ্য?
উত্তরঃ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা আন্দোলনের নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্য।
১৬. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ফলো কর্মোচন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে।
১৭. কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ফলে উন্মোচন করেন?
উত্তরঃ শহীদ শফিউর এর পিতা।
১৮. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি কে?
উত্তরঃ হামিদুর রহমান।
তিন নেতার স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
১৯. তিন নেতা স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ কার্জন হল সংলগ্ন দোয়েল চত্বরের পাশে।
২০. তিন নেতার স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
উত্তরঃ মাসুদ আহমেদ।
২১. তিন নেতার স্মৃতিসৌধে শায়িত তিন নেতা কে কে?
উত্তরঃ শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিম উদ্দিন।
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
২২. মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে।
২৩. মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কি উদ্দেশ্য নির্মিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী সরকারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
২৪. মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
উত্তরঃ তানভীর কবির।
২৫. মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের স্তম্ভ কয়টি?
উত্তরঃ ২৩ টি।
বঙ্গবন্ধু মনুমেন্ট ফোয়ারা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
২৬. বঙ্গবন্ধু মনুমেন্ট ফোয়ারা কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ গুলিস্তানে।
২৭. বঙ্গবন্ধু মনুমেন্ট ফোয়ারা উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ৪ মার্চ ২০০০ সালে।
২৮. বঙ্গবন্ধু মনুমেন্ট ফোয়ারার নকশা কে করেন?
উত্তরঃ সিরাজুল ইসলাম।
২৯. বঙ্গবন্ধু মনুমেন্টে কয়টি পাপড়ি রয়েছে?
উত্তরঃ ৭টি পাপড়ি।
৩০. বঙ্গবন্ধু মনুমেন্টে সাতটি পাপড়ি কিসের স্মৃতি বহন করেছে?
উত্তরঃ সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের স্মৃতি।
৩১. বঙ্গবন্ধু মনুমেন্টের উচ্চতা কত?
উত্তরঃ ১১ মিটার।
অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৩২. অপরাজেয় বাংলা কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন চত্বরে।
৩৩. অপরাজেয় বাংলার স্থপতি কে?
উত্তরঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ।
৩৪. অপরাজেয় বাংলা কিসের প্রতীক?
উত্তরঃ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলার নারী ও পুরুষের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের ও বিজয়ের।
৩৫. অপরাজেয় বাংলার উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে।
৩৬. অপরাজেয় বাংলার উদ্বোধন করেন কে?
উত্তরঃ অজ্ঞাত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।
৩৭. অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর্যটি নির্মাণ বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ ৬ ফুট উঁচু বেদির উপর নির্মিত মূল ভাস্কর্যের উচ্চতা ১২ ফুট, প্রস্থ ৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট।
৩৮. অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর্যটির বিশেষত্ব কি?
উত্তরঃ কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত প্রথম ভাস্কর্য।
৩৯. অপরাজেয় বাংলা কত সালে নির্মাণ করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৭৪ সালে কাজ শুরু করে ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর কিছুদিন বন্ধ থেকে ১৯৭৮ সালে পুনরায় কাজ শুরু হয়।
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৪০. স্বোপার্জিত স্বাধীনতা এর স্থপতি কে?
উত্তরঃ শামীম শিকদার।
৪১. স্বোপার্জিত স্বাধীনতা কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে।
জয় বাংলা জয় তারণ্য ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৪২. জয় বাংলা জয় তারণ্য এর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শামসুন্নাহার হল সংলগ্ন ব-দ্বীপ।
৪৩. জয় বাংলা জয় তারুণ্য এর স্থপতি কে?
উত্তরঃ আলাউদ্দিন বুলবুল।
৪৪. জয় বাংলা জয় তারণ্য এর উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সালে।
৪৫. জয় বাংলা জয় তারুণ্য এর উদ্বোধক কে?
উত্তরঃ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৪৬. স্বাধীনতার সংগ্রামের অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ ফুলার রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৪৭. স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর কে?
উত্তরঃ শামীম শিকদার।
৪৮. স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ৭ মার্চ ১৯৯৯ সালে।
সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৪৯. সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটির অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার সবুজ চত্বরে প্রদান ফটকের বায়ে মুক্তাঙ্গনের উত্তর পাশে।
৫০. সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ সালে।
৫১. সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন কে?
উত্তরঃ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
৫২. সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর কে?
উত্তরঃ নিতুন কুন্ডু।
গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার স্থাপনা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৫৩. গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার এর স্থপতি কে?
উত্তরঃ মৃণাল হক।
৫৪. গোল্ডেন জুবিলী টাওয়ার এর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
৫৫. গোল্ডেন জুবিলী টাওয়ার উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ২১ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে।
৫৬. গোল্ডেন জুবিলী টাওয়ার উদ্বোধন করেন কে?
উত্তরঃ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
৫৭. গোল্ডেন জুবিলী টাওয়ার এর উচ্চতা কত?
উত্তরঃ ৫০ ফুট।
অমর একুশে ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৫৮. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যটির নাম কি?
উত্তরঃ অমর একুশে।
৫৯. অমর একুশের ভাস্কর কে?
উত্তরঃ শিল্পী জাহানারা পারভীন।
সংশপ্তক ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৬০. সংশপ্তক ভাস্কর্যের অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে।
৬১. সংশপ্তক ভাস্কর্যের ভাস্কর কে?
উত্তরঃ হামিদুজ্জামান খান।
মুক্ত বাংলা ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৬২. মুক্ত বাংলা ভাস্কর্যের অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
৬৩. মুক্ত বাংলা ভাস্কর্যের ভাস্কর কে?
উত্তরঃ রশিদ আহমদ।
৬৪. মুক্ত বাংলা ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে।
৬৫. মুক্ত বাংলা ভাস্কর্যের আয়তন কত ফুট?
উত্তরঃ ৪০ ফুট।
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৬৬. বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ মিরপুর, ঢাকা।
৬৭. বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ২২ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে।
৬৮. বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
উত্তরঃ মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি।
৬৯. বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৮৬ সালে।
৭০. বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন কে?
উত্তরঃ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৭১. রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ ধানমন্ডি আবাহনীর মাঠের পশ্চিমে রায়ের বাজার সংলগ্ন ইট খোলায়।
৭২. রায়বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় কবে?
উত্তরঃ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে (প্রথম পর্যায়ে)।
৭৩. রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের বৃত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে?
উত্তরঃ বেগম খালেদা জিয়া।
৭৪. রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের দ্বিতীয় পর্যায়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন কে?
উত্তরঃ ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে, শেখ হাসিনা।
জাগ্রত চৌরঙ্গী ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৭৫. জাগ্রত চৌরঙ্গীর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ জয়দেবপুর চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে, গাজীপুর।
৭৬. জাগ্রত চৌরঙ্গী নির্মিত হয় কবে?
উত্তরঃ ১৯৭৩ সালে এটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য।
৭৭. জাগ্রত চৌরঙ্গীর ভাস্কর?
উত্তরঃ আব্দুর রাজ্জাক।
৭৮. জাগ্রত চৌরঙ্গীর উচ্চতা কত?
উত্তরঃ ভিত বা বেদিসহ ৪২ ফুট ২২ ইঞ্চি। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি ভিত বা বেদির উপর মূল ভাস্কর্যটি ১৭ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চ।
৭৯. জাগ্রত চৌরঙ্গীর নির্মাণ বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ গ্রামীণ পোশাক পরা উদোম গায়ে পেশীবহুল ও ভাস্কর্যের ডান হাতে গ্রেনেড আর বাম হাতে রাইফেল।
রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৮০. রাজার বাগ শহীদ স্মৃতিসৌধ এর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ রাজারবাগ, ঢাকা।
৮১. রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ২৬ মার্চ ১৯৯০ সালে।
৮২. রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন কে?
উত্তরঃ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
৮৩. রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
উত্তরঃ মোস্তফা হারুন কুদ্দুস হিলি।
বেগম রোকেয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৮৪. বেগম রোকেয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স এর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ পায়রাবন্ধ, রংপুর।
৮৫. বেগম রোকেয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স অবকাঠামো কি কি?
উত্তরঃ লাইব্রেরি, মিলনায়তন ও গবেষণা কেন্দ্র।
৮৬. বেগম রোকেয়া স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১৯৯৭ সালের জুন মাসে।
৮৭. বেগম রোকেয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১ জুলাই ২০০১ সালে।
৮৮. বেগম রোকেয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন কে?
উত্তরঃ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৮৯. জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ শেরেবাংলা নগরের জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর পাশে জিয়া উদ্যানে।
৯০. জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ৭ নভেম্বর ২০০৪ সালে।
৯১. জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্সের আয়তন কত একর?
উত্তরঃ ৭৪ একর।
৯২. জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন কে?
উত্তরঃ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ।
৯৩. জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয় কবে?
উত্তরঃ ২০০২ সালের ডিসেম্বরে।
৯৪. জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স স্থপতি কে?
উত্তরঃ মাসুদুর রহমান খান।
যুদ্ধ ভাসান ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৯৫. যুদ্ধ ভাসান এর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ কুমিল্লার প্রবেশ মুখ আলেখার চর ঢাকা-চট্টগ্রাম বিশ্বরোডের সড়কদ্বীপে।
৯৬. যুদ্ধ ভাসান ভাস্কর্যের ভাস্কর কে?
উত্তরঃ এজাজ এ কবীর।
৯৭. যুদ্ধ ভাসান উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে।
দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
৯৮. দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার এর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা।
৯৯. দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে কবে?
উত্তরঃ ৬ নভেম্বর ২০০৪ সালে।
১০০. দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে?
উত্তরঃ উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান।
১০১. দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনারের উচ্চতা কত?
উত্তরঃ উচ্চতা-৭১ ফুট, ব্যাস ৫১ ফুট।
১০২. দেশের সর্বোচ্চ শহিদ মিনারের স্থপতি কে?
উত্তরঃ রবিউল হোসাইন।
১০৩. দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার কবে যাত্রা শুরু করে?
উত্তরঃ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে।
মোদের গরব ভাস্কর্য সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
১০৪. মোদের গরব এর অবস্থান কোথায়?
উত্তরঃ বাংলা একাডেমি চত্বর।
১০৫. মোদের গরব ভাস্কর কে?
উত্তরঃ অখিল পাল।
১০৬. মোদের গরব ভাস্কর্যের নির্মাণ কাজ শুরু হয় কবে?
উত্তরঃ ১৩ নভেম্বর ২০০৬ সালে।
১০৭. মোদের গরব ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয় কবে?
উত্তরঃ ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে।
১০৮. মোদের গরব ভাস্কর্যের মডেল কারা?
উত্তরঃ ভাষা শহীদ সালাম বরকত রফিক জব্বার ও শফিউর।
বাংলাদেশের ম্যুরাল চিত্র স্থাপনা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
১০৯. হযরত শাহজালাল (রা) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশপথে উভয় পাশেরর দেয়ালের ম্যুরাল চিত্রের শিল্পী কে?
উত্তরঃ মৃণাল হক।
১১০. হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যুরাল চিত্রে কি তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তরঃ বাংলাদেশের জনজীবন।
১১১. হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশপথে পুলিশ ক্যাম্পের পাশে ম্যুরাল চিত্রের শিল্পী কে?
উত্তর মৃণাল হক।
১১২. হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যুরাল চিত্রের বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ ফুল ও ইসলামি ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে।
১১৩. ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গেট নং ৩ (শহীদ জাহাঙ্গীর গেট) এর সম্মুখের ম্যুরাল চিত্রশিল্পী কে?
উত্তরঃ শামীম শিকদার।
১১৪. ম্যুরাল চিত্রের বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তরঃ পানিতে ভাসমান শাপলা, ইসলামী স্থাপত্য ও ক্যালিগ্রাফির মিশ্রণ।
১১৫. রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সম্মুখে ম্যুরাল চিত্রের শিল্পী কে?
উত্তরঃ শামীম শিকদার।
১১৬. বিজয় স্মরণীর ফোয়ারার গায়ের ম্যুরাল চিত্রের শিল্পী কে?
উত্তরঃ আব্দুর রাজ্জাক।
১১৭. বিজয় সরণীর ওয়ারার গায়ের ম্যুরাল চিত্রের শিল্পী কে?
উত্তরঃ আব্দুর রাজ্জাক।
১১৮. বাংলাদেশের ম্যুরাল চিত্রের বিষয় কি কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের জনজীবন ও মুক্তিযুদ্ধ।
১১৯. ওসমানী মিলনায়তনের ম্যুরাল চিত্রের শিল্পী কে?
উত্তরঃ শিল্পী আমিনুল ইসলাম।
১২০. ঢাকা বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে ৭১ স্মরণে স্থাপত্যটির স্থপতি কে?
উত্তরঃ হামিদুজ্জামান খান।
পরিশেষেঃ প্রিয় পাঠক আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে বলতে চাই- আমার জানামতে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা সকল ভাস্কর্য এবং স্থাপনা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রশ্ন উত্তর গুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। তারপরেও যদি নতুন করে কোন স্থাপনা বা ভাস্কর্য তৈরি করা হয়ে থাকে অথবা আমার জরিপের বাহিরে থেকে থাকে তাহলে সে সকল ভাস্কর্য এবং স্থাপনার সম্পর্কে কমান্ড বাক্সে অবগত করলে পরবর্তীতে আপডেট করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
সবশেষে "এডুকেশন বিডি ব্লগ" এর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।