সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি
শিল্প এবং সাংস্কৃতি বলতে একটি দেশের গণমানুষের সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য, ভোজন, পোশাক-পরিচ্ছেদ, শিক্ষা-সংস্কৃতি, উৎসব, নাট্য-অভিনয়, চাল-চলন, কথাবার্তা প্রভৃতিকে বুঝায়। বাংলাদেশের শিল্প এবং সাংস্কৃতিও তার ভিন্ন নয়।
বাংলাদেশের শিল্প এবং সংস্কৃতিতে আছে বাংলাদেশের শত শত বছরের ইতিহাস। যাহা একটু একটু করে বাংলার বাঙালিরা নিজ হাতে গড়েছে বাংলার ঐতিহ্য। বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের সক্রিয় মহিমায় আজ বাংলাদেশের সংস্কৃতি গৌরব উজ্জ্বল। তাই প্রিয় পাঠক, আজ আমরা শিখব সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
বিসিএস প্রস্তুতি: সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি
১. বাংলা নববর্ষ 'পহেলা বৈশাখ' চালু করেন কে?
উত্তরঃ সম্রাট আকবর।
২. কত সাল থেকে বাংলার সন চালু হয়?
উত্তরঃ ১৫৫৬ সাল থেকে।
৩. 'গম্ভীরা' বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের গান?
উত্তরঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের।
৪. 'চটকা' বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের গান?
উত্তরঃ রংপুরের।
৫. ভাটিয়ালি বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের গান?
উত্তরঃ ময়মনসিংহের।
৬. ভাওয়াইয়া বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের গান?
উত্তরঃ রংপুরের।
৭. ঢাকা, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের নাম কি?
উত্তরঃ জারি।
৮. বাংলা সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত গান নয় কোনটি?
উত্তরঃ পপ।
৯. "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ আলতাফ মাহমুদ।
১০. বাংলাদেশের একমাত্র লোকশিল্প যাদুঘটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে।
১১. লোকশিল্প জাদুঘরের বর্তমান নাম কি?
উত্তরঃ জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর।
১২. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলকে 'রূপসী বাংলা' বলে ঘোষণা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সোনারগাঁয়ের জাদুঘর এলাকাকে।
১৩. দুর্ভিক্ষের উপর 'ম্যাডোনা ৪৩' ছবিটি কে এঁকেছেন?
উত্তরঃ জয়নুল আবেদীন।
১৪. প্রখ্যাত 'তিন কন্যা' ছবিটি কে এঁকেছেন?
উত্তরঃ কামরুল হাসান।
১৫. 'মনপুরা ৭০' কি?
উত্তরঃ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের আঁকা একটি চিত্রকর্ম।
১৬. শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীনের আঁকা বিখ্যাত চিত্রকর্ম কি কি?
উত্তরঃ ম্যাডোনা ৪৩, সংগ্রাম, মনপুরা ৭০, পাইন্যার মা, গায়ের বধু, নবান্ন, মইটানা প্রভৃতি।
১৭. বাংলাদেশের কোন সঙ্গীতজ্ঞ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন?
উত্তরঃ ওস্তাদ আয়াত আলী খান।
১৮. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাত্তি সম্পন্ন পল্লীগীতির গায়ক কে কে?
উত্তরঃ আব্বাস উদ্দীন ও আব্দুল আলিম।
১৯. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্য শিল্পী কে?
উত্তরঃ বুলবুল চৌধুরী।
২০. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী কে?
উত্তরঃ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
![]() |
বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান |
২১. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জাদুকর কে?
উত্তরঃ জুয়েল আইচ।
২২. বাংলাদেশের বিখ্যাত ভাস্কর কে?
উত্তরঃ শামীম শিকদার।
২৩. বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কাঠ খোদাই শিল্পী কে?
উত্তরঃ অলক রায়।
২৪. বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কার্টুনিস্ট কে?
উত্তরঃ রনবী (রফিকুন্নবী)।
২৫. বাংলাদেশের বিশিষ্ট লালন গীতি গবেষক কে?
উত্তরঃ ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী।
২৬. বাংলাদেশের সুর সম্রাট বলা হয় কাকে?
উত্তরঃ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ কে।
২৭. বাংলাদেশের বিখ্যাত মনিপুরী নাচ কোন অঞ্চলের?
উত্তরঃ সিলেট অঞ্চলের।
২৮. বাংলা সাহিত্য 'বিখ্যাত ১৪০০ সাল' কবিতাটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২৯. রংপুর, রাজশাহী অঞ্চলের বিখ্যাত নৃত্য কোনটি?
উত্তরঃ ঝুমুর নৃত্য।
৩০. খুলনা, ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলের বিখ্যাত নৃত্য কি?
উত্তরঃ ধূপ নৃত্য।
৩১. 'বল নৃত্য' বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের নৃত্য?
উত্তরঃ যশোর অঞ্চলের।
৩২. উপমহাদেশের রাগ সংগীতকে সর্বপ্রথম পাশ্চাত্যের পরিচিত করার অগ্রপথিক কে?
উত্তরঃ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
৩৩. ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ কে কবে ভারতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দেশিকাত্তোম উপাধিতে ঘোষিত করে?
উত্তরঃ ১৯৬১ সালে।
৩৪. ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ জন্মগ্রহণ করেন কোথায়?
উত্তরঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিবপুর গ্রামে।
৩৫. ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ারি, জারি, সারি, মুর্শিদি ইত্যাদি লোকসংগীত এর অনন্য সাধারণ গায়ক কে ছিলেন?
উত্তরঃ আব্বাস উদ্দিন আহমেদ।
৩৬. সংগীতে অবদান রাখার জন্য আব্বাস উদ্দিনকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক 'মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস' পুরস্কার প্রদান করেন কবে?
উত্তরঃ ১৯৮১ সালে।
৩৭. বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ভাওয়াইয়া গায়িকা কে?
উত্তরঃ ফেরদৌসী রহমান।
৩৮. লোকসংগীত ও আধুনিক সংগীতের সুনাম অর্জনকারী গায়িকা কে?
উত্তরঃ সাবিনা ইয়াসমিন।
৩৯. বিভিন্ন ভাষায় সংগীতে অনন্য সাধারণ বাংলাদেশের গায়িকা কে?
উত্তরঃ রুনা লায়লা।
৪০. আব্দুল আলীম কিসে খ্যাতি অর্জন করেন?
উত্তরঃ পল্লীগীতি গেয়ে।
৪১. ঢাকার মঞ্চে প্রথম মহিলা অভিনেত্রী কে ছিলেন?
উত্তরঃ কামরুন নাহার চৌধুরী।
৪২. শিশু স্বর্গ কি?
উত্তরঃ এস এম সুলতানের নিজ বাড়ি নড়াইলে শিশুদের জন্য একটি চিত্র অঙ্কন প্রতিষ্ঠান।
৪৩. "মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ গোবিন্দ হালদার।
৪৪. "মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি" গানটির সুরকার কে?
উত্তরঃ আপেল মাহমুদ।
৪৫. "সবকটি জানালা খুলে দাও না" গানটির সুরকার কে?
উত্তরঃ নজরুল ইসলাম বাবু।
৪৬. "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ গোবিন্দ হালদার।
৪৭. "পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ গোবিন্দ হালদার।
৪৮. "লেফট রাইট লেফট রাইট, হুশিয়ার হুশিয়ার, পদ্মা মেঘনা যমুনা, চল বীর সৈনিক, প্রভৃতি গানের গীতিকার কে?
উত্তরঃ গোবিন্দ হালদার।
৪৯. "আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
৫০. "তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
৫১. "হলুদ বাটো মেন্দি বাটো" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।।
৫২. "ধন ধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
৫৩. বর্তমানে "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা" গানটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ গোবিন্দ হালদার।
৫৪. "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা" গানটির সুরকার কে?
উত্তরঃ আপেল মাহমুদ।
৫৫. "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা" গানটির প্রথম শিল্পী কে?
উত্তরঃ স্বপ্না রায়।
৫৬. স্বপ্না রায় প্রথম কবে "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা" গানটি গেয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালে।
৫৭. বর্তমানে "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ রেবেকা সুলতানা।
৫৮. রেবেকা সুলতানা কবে "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা" গানটি গেয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৭৩ সালে।
৫৯. "এক নদী রক্ত পেরিয়ে" গানটির গীতিকার ও সুরকার কে?
উত্তরঃ খান আতাউর রহমান।
৬০. "এক নদী রক্ত পেরিয়ে" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ শাহানাজ রহমতউল্লাহ।
৬১. "ধন ধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা" গানটির গীতিকার ও সুরকার কে?
উত্তরঃ দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (ডি এল রায়)।
৬২. "ধন ধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ সমবেত কন্ঠে।
৬৩. "ধন ধান্য পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা" গানটি কবে রচনা করা হয়?
উত্তরঃ ১৯০৫ সালে।
৬৪. "সালাম সালাম হাজার সালাম সকল শহীদ স্মরণে" গানটির শিল্পী ও সুরকার কে?
উত্তরঃ আব্দুল জব্বার।
৬৫. "সালাম সালাম হাজার সালাম সকল শহীদ স্মরণে" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ ফজলে খোদা।
৬৬. "সালাম সালাম হাজার সালাম সকল শহীদ স্মরণে" গানটি প্রথম কবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালের ১৪ মার্চ।
৬৭. "জয় বাংলা বাংলার জয়" গানটির গীতিকার ও সুরকার কে?
উত্তরঃ গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
৬৮. "জয় বাংলা বাংলার জয়" গানটি প্রথম কবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রচার করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালে।
৬৯. "জয় বাংলা বাংলার জয়" গানটির সুরকার কে?
উত্তরঃ আনোয়ার পারভেজ।
৭০. "খাঁচার ভিতর অচিন পাখি" গানটির গীতিকার ও সুরকার কে?
উত্তরঃ লালন ফকির।
৭১. "একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গায়" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ শাহানাজ রহমতউল্লাহ।
৭২. "একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গায়" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ গাজী মাযহারুল আনোয়ার।
৭৩. "একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়" গানটির সুরকার কে?
উত্তরঃ আনোয়ার পারভেজ।
৭৪. "কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট" গানটির শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার কে?
উত্তরঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
৭৫. "কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট" গানটি কবে রচনা করা হয়?
উত্তরঃ ১৯২১ সালে ডিসেম্বরে।
৭৬. "এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে" গানটির গীতিকার ও সুরকার কে?
উত্তরঃ আবু জাফর।
৭৭. "এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা সুরমা নদী তটে" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ ফরিদা পারভীন।
৭৮. "চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
৭৯. "একতারা দুই দেশের কথা বলরে এবার বল" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ শাহনাজ রহমাতুল্লাহ।
৮০. "একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ গাজী মাযহারুল আনোয়ার।
৮১. "একতারা দুই দেশের কথা বল রে এবার বল" গানটির সুরকার কে?
উত্তরঃ সত্য সাহা।
৮২. "তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ আব্দুল জব্বার।
৮৩. "তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ মোঃ মনিরুজ্জামান।
৮৪. "তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয়" গানটির সুরকার কে?
উত্তরঃ সত্য সাহা।
৮৫. "পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ গোবিন্দ হালদার।
৮৬. "পদ্মা মেঘনা যমুনা" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ গোবিন্দ হালদার।
৮৭. "আমাদের সংগ্রাম চলবেই" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ সিকান্দার আবু জাফর।
৮৮. "ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়" গানটির রচয়িতা এবং সুরকার কে?
উত্তরঃ আব্দুল লতিফ।
৮৯. "সবকটি জানালা খুলে দাওনা" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ নজরুল ইসলাম বাবু।
৯০. "সবকটি জানালা খুলে দাওনা" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ সাবিনা ইয়াসমিন।
৯১. "মোদের গরব মোদের আশা" গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ অতুল প্রসাদ সেন।
৯২. "আমি বাংলার গান গাই" গানটির গীতিকার ও প্রথম শিল্পী কে?
উত্তরঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
৯৩. "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য", গানটির গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী কে?
উত্তরঃ ভূপেন হাজারিকা।
৯৪. "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই" গানটির শিল্পী কে?
উত্তরঃ মান্না দে (গীতিকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদার)।
৯৫. বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম মারা যান কবে?
উত্তরঃ ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে।
৯৬. ৫২'র ২১শে ফেব্রুয়ারীর দিনটি বাংলা মাসের কত তারিখ ছিল?
উত্তরঃ ৮ই ফাল্গুন।
৯৭. ৫২'র একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি কি বার ছিল?
উত্তরঃ বৃহস্পতিবার।
৯৮. একুশে ফেব্রুয়ারির উপর লিখিত প্রথম কবিতা কোনটি?
উত্তরঃ কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।
৯৯. "কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি" কবিতাটি কে রচনা করেন?
উত্তরঃ মাহবুবুল আলম চৌধুরী।
১০০. 'ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো' কবিতাটি কার লেখা?
উত্তরঃ কবি রফিক আজাদের।
১০১. "কবর" নাটকটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ মুনীর চৌধুরী।
১০২. "কবর" নাটকের মূল উপজীব্য বিষয় কোনটি?
উত্তরঃ বায়ান্ন এর ভাষা আন্দোলন।
১০৩. "রক্তাক্ত প্রান্তর" নাটকটির লেখক কে?
উত্তরঃ মুনীর চৌধুরী।
১০৪. "রক্তাক্ত প্রান্তর" নাটকের উপজীব্য বিষয় কি ছিল?
উত্তরঃ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ।
১০৫. ভাষা আন্দোলনের উপর প্রথম উপন্যাস কোনটি?
উত্তরঃ আরেক ফাল্গুন।
১০৬. "আরেক ফাল্গুন" উপন্যাসের রচয়িতা কে?
উত্তরঃ জহির রায়হান।
১০৭. কায়কোবাদের মহাশ্মশানে বর্ণনা রয়েছে কোন ঘটনা?
উত্তরঃ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের ঘটনা।
১০৮. বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?
উত্তরঃ ৩ ডিসেম্বর ১৯৫৫ সালে।
১০৯. বাংলা একাডেমী মূল ভবনের পুরাতন নাম কি ছিল?
উত্তরঃ বর্ধমান হাউজ।
১১০. বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৭৪ সালে।
১১১. বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকার সেগুন বাগিচায়।
১১২. বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কে?
উত্তরঃ লিয়াকত আলী লাকী।
১১৩. শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৭৭ সালে।
১১৪. শিশু একাডেমি কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকার পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে।
১১৫. বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৭৮ সালে।
১১৬. বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র এর স্লোগান কি?
উত্তরঃ আলোকিত মানুষ চাই।
১১৭. বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তরঃ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ।
১১৮. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন কি?
উত্তরঃ চর্যাপদ।
১১৯. চর্যাপদের আবিষ্কারক কে?
উত্তরঃ হর প্রসাদ শাস্ত্রী।
১২০. চর্যাপদ কত সালে আবিষ্কার করা হয়?
উত্তরঃ ১৯০৭ সালে।
১২১. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ নেপালের রাজ দরবারে।
১২২. মোট কতটি চর্যাপদ রচিত হয়েছিল?
উত্তরঃ ৫১ টি।
১২৩. মোট কতটি চর্যাপদ উদ্ধার করা হয়েছিল?
উত্তরঃ সাড়ে ৪৬ টি।
১২৪. চর্যাপদের মোট লেখক কতজন ছিল?
উত্তরঃ ২৪ জন।
১২৫. সর্বাধিক চর্যাপদ কে রচনা করেন?
উত্তরঃ কাহ্নপা ১৩ টি।
১২৬. ময়মনসিংহ গীতিকা কে সংগ্রহ করেন?
উত্তরঃ ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেন।
১২৭. বাংলাদেশের 'বাউল সম্রাট' কে?
উত্তরঃ লালন ফকির।
১২৮. লালন ফকিরের মাজার কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ কুষ্টিয়ার দেউড়ীতে।
১২৯. লালন ফকিরের জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিতব্য সিনেমার নাম কি?
উত্তরঃ অচিন পাখি।
১৩০. বাংলা 'টম্পা' গানের জনক কে?
উত্তরঃ নিধু বাবু।
১৩১. বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক কে?
উত্তরঃ চার্লস উইলকিনস।
১৩২. প্রথম কোন বাঙালি বাংলা মুদ্রাক্ষর খোদাই করেন?
উত্তরঃ পঞ্চানন কর্মকার।
১৩৩. 'দেওয়ানা মদিনা পালা'র রচয়িতা কে?
উত্তরঃ মনসুর বয়াতি।
১৩৪. পাঁচালী গানের শক্তিশালী কবি কে?
উত্তরঃ দাশ রথি রায়।
১৩৫. "ঠাকুর মার ঝুলি" এর লেখক কে?
উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
১৩৬. প্রচলিত বাংলা বর্ষপঞ্জি কার পরিকল্পনায় তৈরি?
উত্তরঃ ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (১৯৬৩ সালে)।
১৩৭. বাংলা ভাষায় রচিত গানের সম্রাট কে?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
১৩৮. মরমী কবি নামে পরিচিত কে?
উত্তরঃ হাসন রাজা।
১৩৯. হাসন রাজার মাজার কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ সিলেটে।
১৪০. সম্প্রতি কোন শহরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়?
উত্তরঃ কলকাতা।
১৪১. কবি শামসুর রহমানকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দেয় কারা?
উত্তরঃ রাইটার্স ক্লাব।
১৪২. বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু হয় কবে থেকে?
উত্তরঃ ১৯৭৮ সাল থেকে।
১৪৩. বিবিসির বাংলা বিভাগের শ্রোতা জরিপে শ্রেষ্ঠ বাংলা গান কোনটি?
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি'।
পরিশেষেঃ
আলোচনার পরিশেষে এসে একটি কথাই বলতে চাই- বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের মতো এমন ঐতিহ্যবাহী শিল্প এবং সংস্কৃতি খুঁজে পাওয়া খুবই ভার। বাংলাদেশের শিল্পীদের কন্ঠে গাওয়া গান আজও বাংলার ইতিহাসে গৌরবানিত হয়ে আছে, যাহা আমরা কখনোই ভুলবো না।