হোয়াইট হাউস (White House)

হেলো ভিউয়ার আশাকরি সবাই ভালো আছেন। গত ৩টি পর্বে আমি আরও বেশ কয়েকটি টপিক্স নিয়ে বাংলা অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফ সম্পর্কে আর্টিকেল পোস্ট করেছি, আপনারা যদি আগের আর্টিকেল গুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার পূর্বের পোস্টগুলো পড়ে আসতে পারেন। গত পোস্ট গুলোতে আপনাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সারা পাওয়ার কারনে আজ আবার বেশ কয়েকটি টপিক্স নিয়ে আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করছি। আশাকরি আপনারা সবাই আমার সাথেই থাকবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-

বাংলা অনুচ্ছেদ "হোয়াইট হাউস" (White House)

বাংলা প্যারাগ্রাফ
বাংলা অনুচ্ছেদ 

হোয়াইট হাউস (White House)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের নাম হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি তে এটি অবস্থিত। ভবনটির ডিজাইনার এবং মূল স্থপতি আইরিশ প্রজাতন্ত্রের নাগরিক "মিস্টার জেমস হবান"। ধূসর বর্ণের দামি পাথরের নির্মিত ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে। কয়েক হাজার শ্রমিকের দিনরাত পরিশ্রমের পর ১৮০০ সালে এর সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত হয়। হোয়াইট হাউস উদ্বোধন করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এডামস এবং তিনি সর্বপ্রথম এই ভবনে বসবাস করেন। ১৮৪১ সালে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বেধে গেলে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে ভবনটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। আগুনের লেলিহান শিখা এবং গুলির ক্ষত চিহ্ন ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ভবনটির মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে সংস্কার ও চুনকাম করে পূর্বের ধূসর বা সাদা বর্ণের রূপান্তরিত করা হয় এবং সেই থেকে এর নাম হয় হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট রোজ বেল্ট এই নামকরণের স্বীকৃতি প্রদান করেন। এই যাবত ৪২ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই ভবনে বসবাস করেছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় এই ভবনটিতে। হোয়াইট হাউসে রয়েছে একটি সুন্দর প্রশস্ত বাগান, লেক, বিমান উড্ডয়নের ব্যবস্থাসহ বিশ্বের সর্বোচ্চ আবাসিক সুব্যবস্থা। এই ভবনটির যেমন রয়েছে পৃথিবীব্যাপী বিশাল ঐতিহ্য, তেমনি রয়েছে বিমান দুর্ঘটনাসহ নারী কেলেঙ্কারির কলঙ্ক।


স্ট্যাচু অব লিবার্টি  (Statue of Liberty)

বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রদত্ত ফ্রান্সের ঐতিহাসিক উপহার হলো স্ট্যাচু অব লিবার্টি। পর্যটক হিসেবে নিউইয়র্কের প্রথম দর্শনীয় জিনিস স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী দ্বীপটিতে এসে ভিড় জমায়। সমুদ্রের উপরে লিবার্টি দ্বীপ। যার উপর স্থাপিত হয়েছে এক বিরাট আকৃতির মহীয়সী মহিলার মূর্তি। হাতে প্রজ্বলিত অগ্নিশিখার মত টর্চ যেটা দেখা যায় সমুদ্রের বহুদূর থেকে এটা আমেরিকার স্বাধীনতার প্রতীক মনুমেন্ট তৈরি হয়েছে তামা ও লোহা দ্বারা। যাকে ১৯২৪ সালে আমেরিকার জাতীয় মনুমেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। মূর্তিটির মাথায় মুকুট এর ডান হাতে অনির্বাণ টর্চ এটি পৃথিবীর মূর্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ মূর্তি উচ্চতা ৩০০ ফুট এর উপরে। টর্চ টি জ্বালানো থাকে নিচের বিদ্যুৎ থেকে। এই মন্টুমেন্ট তৈরি হয়েছে ফরাসিদের চিন্তা ভাবনার উপরে। ফ্রান্সের রাজা তৃতীয় নেপোলিয়নের সময়ে এডওয়ার্ড রিনি লাবুলাই নামে এক ফরাসি পন্ডিত প্রথমে প্যারিসে বসে চিন্তা করেন যে, একটা বিরাট সিভিল ওয়ারে জিতে আমেরিকানরা একটা প্রভুত সম্পদশালী জাতিতে পরিণত হতে চলছে। তাই ওদের মধ্যে এমন একটা কিছু করা দরকার, যা হবে ফরাসি আমেরিকান মৈত্রী বন্ধন। তিনি তদানিন্তন একজন বিখ্যাত ভাস্কর বার্থোডির সঙ্গে এই নিয়ে আলাপ করেন। ১৮৭১ সালে বার্থোডি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন মনুমেন্টের প্রস্তাব নিয়ে ঐ স্থান নির্বাচনের জন্য। তিনি সমুদ্রের পাড়ে নিউইয়র্ক শহরের বর্তমান দ্বীপটি পছন্দ করেন। প্রায় দুবছর ফরাসি ও আমেরিকান ভাস্কররা এই মূর্তি তৈরির জন্য পরিশ্রম করেন। একে ৩০০ খন্ডে তৈরি করা হয় এবং এর উপরে আড়াই মিলিমিটার প্রশস্ত তামার সিট জড়িয়ে দেয়া হয়। ১৮৮৪ সালে এটা তৈরি সম্পন্ন হলে প্যারিসে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ১৮৮৫ সালে এটি খন্ড বিখন্ড করে টুকরা টুকরা হিসেবে আমেরিকায় পাঠানো হয়। ২২ তলা উঁচু মূর্তিটির মাথার কাছে পৌঁছাতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন করে দাঁড়াতে হবে। মূর্তিটির পদানীতে কয়েকটি বড় বড় হল রুম আছে যার মধ্যে আছে মিউজিয়াম। নতুন ইমিগ্রেন্টদের ছবি এবং পূর্ণ পরিচয় কিভাবে মূর্তিটি তৈরি হলো ইত্যাদি। আরো আছে প্রত্যেক তলায় মূর্তিটির বিশিষ্ট অংশ। যেমন মাথা প্রজ্বলিত টর্চ ইত্যাদির খন্ড খন্ড বিরাট বিরাট মূর্তি ও ছবি। ১৯৮৬ সালে আবার নতুন করে ফরাসি ও আমেরিকান প্রকৌশলীরা ওটাকে মেরামত করে অংশবিশেষ বদলিয়ে নতুন অংশ লাগিয়ে দেন। প্রজ্বলিত টর্চটা ও গোল্ড শ্লেটেড কপার ফ্রেম (যা রিফ্লেকশন দ্বারা জালানো হয়) দ্বারা বদলানো হয়। ১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর স্ট্যাচু অফ লিবার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ১৯৮৬ সালে অত্যন্ত জাগজনক পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় এর শতবার্ষিকী উদযাপিত হয়।   

রেডক্রস (Red Cross)

রেডক্রস একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত বিশ্ব বিস্তৃত একটি ত্রাণসংস্থা। রেডক্রস আত্মপ্রকাশ করে ১৮৬৩ সালে। সুইজারল্যান্ডের অধিবাসী হেনরি ডোনাল্ড এর উৎসাহ আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রেডক্রস এর  সদর দপ্তর জেনেভা। 

উদ্দেশ্য ও কার্যক্রমঃ বিশ্বব্যাপী দুস্থ মানুষের সেবা তথা যুদ্ধে আহত ও যুদ্ধে বন্দী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ও দুঃখ-দুর্দশা লাগবই এর মূল কার্যক্রম। বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীতে রেড ক্রসের কার্যক্রম চালু আছে। বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়, বন্যার দুর্দশাগ্রস্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সেবায় রেট করছে ভূমিকা অগণ্য ও উল্লেখযোগ্য। এই সংস্থায় জরুরী সরঞ্জাম সহ হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী জনবল রয়েছে। যারা অতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে সেবা প্রদান করে থাকে। বিশ্বব্যাপী বিপদগ্রস্ত মানুষের সেবার ক্ষেত্রে অনন্য ধর্মী প্রতিষ্ঠান রেডক্রসের ভূমিকা প্রশাসনীয়। একটি ক্রস (+) চিহ্ন এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতীক। তাই এর নাম রেডক্রস। বাংলাদেশ সহ সকল মুসলিম দেশে এই প্রতিষ্ঠান রেড ক্রিসেন্ট (Red Crecent) নামে পরিচিত। 

সিনাই উপদ্বীপ 

ঐতিহাসিক সিনায় স্থানটি আরব প্রজাতন্ত্রের উত্তর পূর্বাংশে অবস্থিত একটি উপদ্বীপ। লোহিত সাগরের উত্তর প্রান্তে সুয়েজ উপসাগর ও আকাবার মধ্যখানে এর অবস্থান। ১৯৬৭ সালে আরব ইসরাইল যুদ্ধের সময় ইসরাইল এই এলাকাটি মিশরের নিকট থেকে দখল করে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেবিট চুক্তির মাধ্যমে শর্ত অনুযায়ী ইসরাইল এলাকাটিকে মিশরের নিকট হস্তান্তর করে এবং এখান থেকে ইসরাইলের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। ১৯৮২ সালে এই এলাকা থেকে সম্পূর্ণ ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হয় এবং সিনাই এখন মিশরের অধিভুক্ত একটি উপদ্বীপ হিসেবে পরিচিত। 

৩৮ তম অক্ষরেখা 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে কোরিয়া দ্বীপটি জাপানের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিত বাহিনী কোরিয়া দ্বীপটি দখল করে নেয়। পরে সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মিরা উত্তর কোরিয়ার বিশাল অংশ এবং মার্কিন সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার অংশে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। ফলে দুই পরাশক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অংশে নিজেদের ভাবধারা পুষ্ট সরকার গঠন করে এবং কোরিয়াকে সমান্তরাল করে বিভক্ত করে। দুই কোরিয়ার এই বিভক্তিসূচক সীমারেখার নামই হলো ৩৮ তম অক্ষরেখা। তবে তা সত্ত্বেও ১৯৫০ সালে এই বিভক্তি রেখা অতিক্রম করেই কোরিয়া যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বর্তমানে এই অক্ষরেখার মাধ্যমে বিভক্ত উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র। 

ওডের নিস লাইন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে নিরপিত সীমারেখার নাম উডের নিস লাইন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জার্মানি পোল্যান্ড দখল করলে পরবর্তীতে ইয়াল্টা সম্মেলন এবং পোটসডাম সম্মেলন ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন এ তিন মিত্রশক্তি পোল্যান্ডের সীমারেখা চিহ্নিত করে। পোটসডাম সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয় যে ওড়ার নদী রেখা বরাবর থেকে আরম্ভ করে পশ্চিম নিশ নদীর বরাবর থেকে চেকোস্লোভাকিয়ার সীমানার পূর্ব পর্যন্ত প্রাক্তন জার্মান ভূমি সমূহ পোল্যান্ডের শাসনাধীনে আসবে। কিন্তু পরবর্তীতে এই সীমারেখার স্বীকৃতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। তবে এখনো এই লাইনটি দেশ দুটির মধ্যকার সীমারেখা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। 

হংকং 

হংকং চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল এলাকায় কতগুলো দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। যার আয়তন ১০০০ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি। জনসংখ্যা ৬০ লক্ষাধিক। ৯৫% হংকংবাসী জাতিগতভাবে চীনা। হংকং যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এবং আন্তর্জাতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে। হংকং এর মুখ্য প্রশাসক হচ্ছেন গভর্নর। তাকে সাহায্য করেন একটি স্থানীয় নির্বাহী পরিষদ। গভর্নর নিজেই ঐ পরিষদ সদস্যদের নিযুক্ত করেন। তিনি একটি নিরপেক্ষ ও দক্ষ আমলা গোষ্ঠী নিয়োগ করেন। আমলাদের বেশিরভাগ সিনিয়র পদে চিনারা নিয়োজিত। হংকং এর একটি 60 সদস্যর নির্বাচিত আইন পরিষদ আছে। প্রশাসন আইন পরিষদের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য। সরকারি ব্যয় নির্ধারণ করে আইন পরিষদ। হংকং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক ও সার্ভিস সেন্টার। বিগত ৩৫ বছরের অধিক কাল যাবৎ হংকংয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত হয়েছে। হংকং এর মাথাপিছু জিডিপি অধিকাংশ পশ্চিমা দেশের তুলনায় বেশি। হংকং বিশ্বের অষ্টম বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র। 

নিউ সিল্ক রোড 

১৯৯৬ সালের ১৩ মে ইরানে ১১ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সহ ৪০ টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মধ্য এশিয়ার তুর্কমেনিস্তানের রেল নেটওয়ার্কের সাথে ইরানের রেল নেটওয়ার্ক এর সংযোগ স্থাপন করে নয়া রোড উদ্বোধন করা হয়। তুর্কিমেনিস্তানের সারাখস থেকে ইরানের মাসাদ পর্যন্ত এই রেলপথ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য সম্ভার ইরানের পথে তুরস্ক হয়ে রেল যুগে ভূমধ্যসাগরের অন্যদিকে বন্দর আব্বাস হয়ে পারস্য উপসাগরে উপনীত হতে পারবে। অতীতে একসময় শেরশাহ প্রতিষ্ঠিত সিল্ক রোড বা রেশম সড়ক পথেই বাংলাদেশের মসলিন কাপড় মধ্যে এশিয়ার বুখারা সমর খন্দে রপ্তানি হতো। সেই পথের স্মরণে এই নতুন পথকে "নিউ সিল্ক রোড" নামকরণ করা হয়। এই রোড দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও পাটজাত দ্রব্য আব্বাস বন্দর হয়ে মধ্য এশিয়ায় পৌঁছাতে পারবে। 

মাই লাইফ 

২৪ জুন ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আত্মজীবনীমূলক বই "মাই লাইফ" প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশনার দায়িত্বে রয়েছে বিখ্যাত মার্কিন প্রকাশনা সংস্থার 'নফ' প্রকাশনী। বইটিতে ৯৫৭ টি পৃষ্ঠা রয়েছে। এই বইয়ের পারিশ্রমিক হিসেবে বিল ক্লিনটন পেয়েছেন ১ কোটি মার্কিন ডলার। বইটি প্রকাশের সাথে সাথে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বইটিতে স্থান পেয়েছে মূলত ক্লিনটনের শিশু-কিশোর যৌবন কর্মজীবন দাম্পত্য জীবন ব্যক্তিগত জীবন বিশেষ করে মনিকা লিউনিস্কির সাথে বিতর্কিত যৌন সম্পর্ক প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার কর্মময় জীবন এবং বিশ্বব্যাপী মার্কিন স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। মাই লাইফ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। প্রকল্পের পূর্বে যেভাবে সমালোচনা করা হয়েছিল তার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি পাঠক ক্রেতাদের উপর।

ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবে 

গ্রেট ব্রিটেনের লন্ডনে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানের নাম ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবে। বৃটেনের বহু খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও অজ্ঞাতনামা যোদ্ধাদের সমাধি ক্ষেত্রের জন্য এটি বিখ্যাত। মূলত ইংল্যান্ডের বহু ঐতিহাসিক ও বেদনাদায়ক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে এই স্থানটি। ইংরেজি সাহিত্যের অনেক লেখক ও উপন্যাসিকের সমাধি এই ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে অবস্থিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি একটি বদ্ধভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রতিবছর অনেক পর্যটক এখানে দর্শনের জন্য আগমন করেন। 


Next Post Previous Post